লন্ডনে ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে জগন্নাথপুরে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও প্রাণনাশের হুমকি


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৪, ২০২৫, ১০:৫৭ অপরাহ্ন
লন্ডনে ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে জগন্নাথপুরে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও প্রাণনাশের হুমকি

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় ফেসবুকে সরকারবিরোধী স্ট্যাটাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে যুক্তরাজ্য প্রবাসী যুবলীগ নেতা তানিম আহমেদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। এতে তার পিতা গুরুতর আহত হয়েছেন এবং লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ইং সকাল ১১টার দিকে, উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের বাউধরন গোয়াসপুর গ্রামে।

ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রবাসী যুবলীগ নেতা মো. তানিম আহমেদ সম্প্রতি লন্ডনে আয়োজিত একটি বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমালোচনায় একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস পোস্ট করেন, যার সঙ্গে কিছু ছবিও ছিল। সেই স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

পরিবারের দাবি, ওই ঘটনার জেরে “বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন”-এর জগন্নাথপুর উপজেলার আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম এর

নেতৃত্বে তিনটি মোটরসাইকেলে করে ৭-৮ জন লোক এসে প্রবাসীর বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় যুবলীগ নেতা তানিম আহমেদের পিতা সানোয়াল হক সানু গুরুতর আহত হন এবং বসতবাড়ির বিভিন্ন অংশ ভাঙচুর করা হয়। দুর্বৃত্তরা বাড়ির ভেতর ঢুকে প্রায় ১০-১২ লক্ষ টাকার মালামাল ভাঙচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছে পরিবার।

হামলাকারীরা যুবলীগ নেতা তানিমের বাবাকে হুমকি দিয়ে বলেন, “তোর ছেলে কেন সরকারবিরোধী স্ট্যাটাস দিয়েছে? সঙ্গে সঙ্গে ডিলিট করতে বল, না হলে ফল ভালো হবে না।” এ ছাড়া তানিম আহমেদের ফেসবুক ইনবক্স ও মেসেঞ্জারে তাকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে, যা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে।

ঘটনার পর স্থানীয়ভাবে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এবং এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়। উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়ও প্রবাসী তানিম আহমেদের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছিল। তখন থেকেই পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর সিলেট জেলা আহ্বায়ককে একাধিকবার মোবাইলে ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

অন্যদিকে, জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামকে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জরুরি কাজে ব্যস্ত থাকার কথা জানিয়ে কল কেটে দেন।

পরিবারটি দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে।