
রিপোর্টঃ আমিনুর রহমান জিলু
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার দরিদ্র ও পথশিশুদের শিক্ষার আলোয় ফিরিয়ে আনতে মানবিক ও শিক্ষামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী স্কুল ‘স্বপ্নজয়ী পাঠশালা’।

এরই ধারাবাহিকতায় আজ ২৭ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় জগন্নাথপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে- উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন তহবিল এডিপি এর আওতায় স্বপ্নজয়ী পাঠশালার পথশিশুদের মাঝে উঁচুনিচু বেঞ্চ বিতরণ করা হয়েছে।

পাশাপাশি মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মাঝে ৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং শীতবস্ত্র হিসেবে ৫০টি কম্বল বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বরকত উল্লাহ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহসীন উদ্দিন, উপজেলা প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন, একাডেমিক সুপারভাইজার অরূপ কুমার।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক তাজউদ্দিন, শাহজাহান মিয়া, হুমায়ুন কবির, রিয়াজ রহমান, শাহ্ ফুজায়েল আহমদসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিগন।

বক্তারা বলেন, সমাজের অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার আওতায় আনার ক্ষেত্রে ‘স্বপ্নজয়ী পাঠশালা’ একটি ব্যতিক্রমী ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বক্তারা পাঠশালাটির প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও সমাজ সেবক সাগরিকা নাসরিন এর ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও মানবিক চেতনা থেকেই তিনি এই পাঠশালা গড়ে তুলেছেন, যা আজ বহু দরিদ্র ও পথশিশুর স্বপ্নের ঠিকানা হয়ে উঠেছে। সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বরকত উল্লাহ বলেন- স্বপ্নজয়ী পাঠশালা শুধু একটি স্কুল নয়, এটি একটি মানবিক আন্দোলন। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে শিশুরা সমাজে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে—এই প্রত্যাশা আমাদের সকলের। তিনি আরও বলেন, জগন্নাথপুর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে এ ধরনের পাঠশালা স্থাপন করা গেলে দরিদ্র ও পথশিশুদের ঝরে পড়া রোধ করা সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য বক্তারাও জগন্নাথপুর উপজেলার সকল ইউনিয়নে ‘স্বপ্নজয়ী পাঠশালা’ স্থাপনের দাবি জানান এবং এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন। তারা আশা প্রকাশ করেন, সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে এই পাঠশালার কার্যক্রম আরও বিস্তৃত হবে। অনুষ্ঠানের শেষাংশে স্বপ্নজয়ী পাঠশালা জগন্নাথপুর উপজেলার পরিচালক সোনিয়া আক্তার সকল অতিথি, প্রশাসনের কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সহযোগীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এই পাঠশালা আমাদের একার নয়—এটি সমাজের সকল মানুষের। আপনারা পাশে থাকলে আমরা আরও অনেক শিশুর মুখে হাসি ফোটাতে পারব। সর্বশেষে অতিথিবৃন্দ স্বপ্নজয়ী পাঠশালার সার্বিক সাফল্য কামনা করেন এবং এই মানবিক উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
আপনার মতামত লিখুন :